মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জে নুর সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড,২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
টিটু আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পূর্ব আগানগর গুদারাঘাটে নুর সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১ শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। মার্কেটটির অবকাঠামো টিন এবং কাঠ দিয়ে তৈরি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
গতকাল (৫ই সেপ্টেম্বর) রবিবার রাত এগারোটায় আগুনের সূত্রপাত হয়। নূর সুপার মার্কেট এর ৩নং গলির কাছে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে বিস্ফোরণ হলে একটি স্পূলিংগ অদিতি গার্মেন্টসের সিরাজের দোকানে গিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে দোকানে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা দোকানের তালা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে,কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফায়ার ব্রিগেড এর সদরদপ্তর, তেজগাঁও স্টেশন সহ দশটি স্টেশনের ১৩৫ জন কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এসময় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নুর সুপার মার্কেটের দোকানদার প্রত্যক্ষদর্শী খান লেদার এর মালিক তারেক জানান, ২নং গলির ফাস্টফুডের দোকানদার মেহেদী সর্বপ্রথম অদিতি গার্মেন্টসের সিরাজের দোকানে ধোয়া উঠতে দেখে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন মিলে দোকানের তালা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেলেও কাপড়ের মার্কেট থাকায় তাৎক্ষণিকভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ সময় আশেপাশের দোকানদাররা নিজেদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরানোয় ব্যস্ত থাকায় বেশ কিছু মালামাল লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেরানীগঞ্জ ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সদস্যদের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তা করতে দেখা গেছে। সমিতির সভাপতি স্বাধীন শেখ জানান, করোনার ধকল সামাল দিতে মাত্র নব উদ্যমে দোকান খুলে নতুন করে পুঁজি সংগ্রহ করে দোকানদাররা আবার ব্যাবসা শুরু করেছিল,এর মধ্যে ভয়াবহ আগুনে সবকিছু কেড়ে নিল। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে করার চেষ্টা করছি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, আগুন লাগার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। মার্কেটের গলি অনেক সরু থাকায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে মার্কেটে নিজস্ব কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও তাতে ব্যর্থ হয়। ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।